এত দ্রুত ‘পানি বাড়তে দেখেননি’, রাতের মধ্যেই ঘরে হাঁটু থেকে গলাসমান পানি
ঘরে গলাসমান পানি উঠেছে। এরপরও বাড়ছে পানি। টিকতে না পেরে স্ত্রী ও ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে এক প্রতিবেশীর দোতলা ভবনের ছাদে ঠাঁই নিয়েছেন শাহজাহান মিয়া।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান বলেছেন, গত বুধবার বিকেল থেকেই তাঁদের ঘরে পানি আসতে শুরু করে। ওই দিন রাতে ঘরে হাঁটুসমান পানি উঠে যায়। এরপরও ঘরে থাকছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সারা দিন তাঁদের ওভাবেই চলে। কিন্তু রাতে এক ধাক্কায় পানি বেড়ে গলসমান হয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলে তাই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বের হন।
ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, উজান থেকে আসা ঢলে এই বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে চলে গেছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ। সেখানে বিদ্যুৎ ও মুঠোফোনের সংযোগও নেই।
উজানের এই ঢল সবচেয়ে বেশি এসেছে বৃহস্পতিবার রাতে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) তথ্যমতে, সিলেট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে এক দিনে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ১২২ বছরের মধ্যে জুন মাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি।

কোন মন্তব্য নেই